অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১০ জুলাই (রোববার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার। হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন।
সভায় অতিরিক্ত সচিব আউয়াল হাওলাদার জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৩ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১০ জুলাই (১০ জিলহজ) রোববার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বুধবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ৯ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ জুলাই। ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করেন।ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ই লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজ পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন। করোনার কারণে গত দু’বছর পর এবার বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজ করতে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে সংখ্যায় অন্যান্য বছরের অর্ধেক।
এবার ঈদে ৯, ১০ ও ১১ জুলাই সরকারি ছুটি থাকবে। তবে ঈদের ছুটির একদিন ৯ জুলাই পড়েছে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দু’বছর (২০২০ ও ২০২১ সাল) বিধিনিষেধের মধ্যে কেটেছে ঈদুল আজহা। তবে সংক্রমণ একেবারে কমে যাওয়ায় গত ঈদুল ফিতর কেটেছে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে। সবার প্রত্যাশা ছিল একইভাবে কাটবে কোরবানির ঈদও, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের হার ফের ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়েও দেওয়া হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
তবে যানবাহন চলাচলের ওপর যেহেতু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের মতো গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ছাড়বেন অসংখ্য মানুষ। এতে ফাঁকা হয়ে পড়বে ঢাকা।